তাওহীদ হৃদয়ের ওপর যেন শনি ভর করেছে। কোনোভাবেই নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না জাতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটার। সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের জেরে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। সে শাস্তি নিয়ে এক চোট লঙ্কাকাণ্ড দেখেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। তার রেশ না কাটতেই আরে কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন তিনি।
শনিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আউট হয়েও মাঠ না ছাড়তে চাওয়ায় ফের শাস্তি পেয়েছেন। ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি তাকে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ম্যাচে ওয়াসি সিদ্দিকীর বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন হৃদয়। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে দীর্ঘ সময় উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা উল্লাস শুরু করলেও মাঠ ছাড়তে অনীহা দেখান হৃদয়।
আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী, আউট হওয়ার পর মাঠে দাঁড়িয়ে থাকাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। এ ঘটনায় হৃদয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তার নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
তাওহিদের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে আম্পায়ার্স কমিটির ইনচার্জ ও ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য অভি আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, শাস্তি মেনে না নেওয়ায় ম্যাচশেষে শুনানিতেও যাননি তাওহিদ। অভি আবদুল্লাহ বলেন, ‘আম্পায়ারের সঙ্গে হতাশা প্রকাশ এবং ম্যাচ শেষে ডাকা হলেও শুনানিতে না যাওয়ায় তাওহিদকে ম্যাচ রেফারি এই শাস্তি দিয়েছেন।’
হৃদয়ের কাঁধে আগে থেকেই ছিল ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট, নতুন করে শাস্তি পাওয়ার পর তার ডিমেরিট পয়েন্টের সংখ্যা দাঁড়াল ৮-এ। নিয়ম অনুযায়ী, ৮ থেকে ১১ ডিমেরিট পয়েন্টের জন্য চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ডিপিএলে হৃদয়ের আগের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কম নাটক হয়নি। এবার ৮ ডিমেরিট পয়েন্টের জন্য তাকে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা করা হয় কিনা-সেটাই এখন দেখার বিষয়।