কাশ্মীর হামলার জেরে ভয়াবহ উত্তেজনার মধ্যে ভারত চালিয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উপর। এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে “অপারেশন সিন্দুর”, যা বুধবার প্রথম প্রহরে শুরু হয়। ভারতের পক্ষ থেকে এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে, যা এ অঞ্চলে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে।
হামলার মূল তথ্য:
লক্ষ্যস্থল: পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর, রাওয়ালপিন্ডি এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ।
হামলার সংখ্যা: মোট ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে ভারতীয় বাহিনী।
লক্ষ্য: ভারত বলছে, হামলাগুলো ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামোর বিরুদ্ধে, যেখানে থেকে ভারতের ওপর হামলার পরিকল্পনা হচ্ছিল।
পাকিস্তান কী বলছে: আইএসপিআর (পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) একে “কাপুরুষোচিত হামলা” হিসেবে অভিহিত করেছে এবং পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা:
পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে পাহাড়ি অঞ্চলে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বাহাওয়ালপুরে হাফিজ সাঈদের একটি মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতের বক্তব্য:
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়:
“এই হামলা ছিল কেন্দ্রীভূত, মেপে নেওয়া, এবং আমরা নিশ্চিত করেছি যাতে উত্তেজনা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বৃদ্ধি না পায়।”
ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে লেখে —
"ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। জয় হিন্দ!"
প্রেক্ষাপট:
গত ২২ এপ্রিল, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পর্যটন অঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত এর জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। পাকিস্তান যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তবে তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। পুরো অঞ্চলজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে—সামনের দিনগুলোতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা এখন কোটি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।