নাইজেল ফারাজ রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার পর আবারো ফিরে এসেছেন—এটা এখন আর কারও অজানা নয়। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে রিফর্ম পার্টিকে উল্লেখযোগ্য ফলাফলের দিকে নিয়ে যাওয়ার পর, ২০২৫ সালের মে মাসে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের বড় সাফল্য তাঁর রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনকে আরও শক্তিশালী করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে—ফারাজ কি সত্যিই ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন?
এই সম্ভাবনা এখন শুধু কল্পনার বিষয় নয়। ইউটিউব চ্যানেল Makaverse প্রকাশিত একটি নতুন ভিডিওয় পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ দেখানো হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে ফারাজ প্রধান দুই দল – কনজারভেটিভ ও লেবার – কে একের পর এক পেছনে ফেলছেন। অনেকটা বোলিংয়ের মতোই তিনি মূলধারার রাজনীতিকে ভেঙে দিচ্ছেন, ঠিক যেমন একসময় বরিস জনসন করেছিলেন। পার্থক্য শুধু, ফারাজ নিজের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করছেন সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দেওয়ার জন্য যে তাদের সমস্যার সহজ সমাধান আছে—যদিও বাস্তবতা ভিন্ন।
এখনও ফারাজ প্রধানমন্ত্রী হননি, কিন্তু তিনি ইতোমধ্যেই দেশের রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছেন। লেবার নেতা কিয়ার স্টারমার অভিবাসন ইস্যুতে ফারাজের উসকানিমূলক বর্ণবাদকে প্রতিহত না করে বরং প্রতিযোগিতা করছেন, যেনো তিনিই বেশি কঠোর। অপরদিকে, কনজারভেটিভ নেতা কেমি বাডেনক বুঝে গেছেন যে দলের পুনর্গঠন করার জন্য তাঁর কাছে চার বছর সময় নেই—কারণ ফারাজ প্রতিবছর মে মাসে স্থানীয় নির্বাচনে আঘাত হানবেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্কবার্তা দিচ্ছেন—এক সময় ডেভিড আইক টারকোয়াজ রঙে জনপ্রিয় হয়েছিলেন, আর এখন সেই রঙেই ফিরছেন ফারাজ। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অনেকেই বলছেন: ইতিহাস যেন পুনরাবৃত্তি না হয়!