মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভুলে একটি পরিবারে নেমে আসে চরম শোক। এম৬ মোটরওয়েতে ১০০ মাইল বেগে গাড়ি চালিয়ে ইনস্টাগ্রামে লাইভ ভিডিও করছিলেন এক তরুণ ছাত্র। কিন্তু সেই ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তই পরিণত হয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়, যার ফলে প্রাণ হারান তার পাশে বসা দাদা।
ঘটনার দিন ছাত্রটি মোবাইল ফোনে নিজেই ভিডিও ধারণ করে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি দ্রুতগতিতে দ্বিতীয় লেনে গাড়ি চালাচ্ছেন এবং গাড়ির স্পিডোমিটার ১০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা অতিক্রম করছে। ভিডিওটি অনলাইনে শেয়ার হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
সংঘর্ষে তার দাদা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ তদন্তে সেই ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করেছে, যা প্রমাণ করে ড্রাইভিংয়ের সময় চালক সম্পূর্ণ অসাবধান ছিলেন এবং মোবাইল ব্যবহার করছিলেন।
দুর্ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। একজন কর্মকর্তা বলেন, “এটি একটি মর্মান্তিক ও প্রতিরোধযোগ্য দুর্ঘটনা। ড্রাইভিংয়ের সময় মোবাইল ব্যবহার এবং অতিরিক্ত গতি যে কতটা বিপজ্জনক, এই ঘটনা তার ভয়াবহ উদাহরণ।”
সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও একইসঙ্গে সতর্ক করে বলেছেন, রাস্তায় প্রযুক্তির অপব্যবহার মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। শুধু চালকের নয়, যাত্রী ও আশপাশের মানুষের জীবনও এতে হুমকির মুখে পড়ে।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। নেটিজেনরা তরুণদের মধ্যে নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করছেন।