রাজনীতি

ইসরাইলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতিদের

11591_002c7d5721ec6f59b8fe3c5720fbf752_2-3.jpg

ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা শনিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কথা জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।

অন্যদিকে ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি এলাকায় সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তার পরই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ‘ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্ভবত সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।’

গত ২৪ জুন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে ঘোষিত যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম হুতির পক্ষ থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘোষণা দেওয়া হলো।

হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেন, “দখলকৃত বীরশেবা এলাকায় ইসরায়েলি শত্রুর একটি সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে ‘জু আল-ফিকার’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, এই হামলা ‘গাজা উপত্যকায় বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ চালানো অপরাধী ইহুদি শত্রুকে জবাব’ হিসেবে চালানো হয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর গাজা যুদ্ধ শুরু হলে হুতি তাদের ফিলিস্তিনি মিত্রদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়।

তবে মার্চে শেষ হওয়া দুই মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় এই হামলা বন্ধ ছিল। এরপর ইসরায়েল আবার গাজায় অভিযান শুরু করলে হুতিও পুনরায় হামলা শুরু করে। ইসরায়েলও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনে একাধিক হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ছিল হুতি নিয়ন্ত্রিত বন্দর ও রাজধানী সানার বিমানবন্দরে বিমান হামলা।

ইয়াহিয়া সারি আরো বলেন, ‘গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংহতিমূলক অভিযান চলবে।’

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও