বাংলাদেশ

চকলেট খেতে বাধা দেওয়ায় পুলিশকে ধমকালেন কামরুল

12421_IMG_3895.jpeg

কাঠগড়ায় চকলেট দিতে বাধা দেওয়ায় মেজাজ হারিয়ে পুলিশ সদস্যদের ধমকালেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। 

বুধবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার সময় এজলাসে ছিলেন না বিচারক। পরে আদালতে কামরুল ইসলামকে পানি ও চকলেট খাওয়ানোর অনুমতি চেয়েও তা মেলেনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাংলামোটরে আল আমিন ইসলাম ওরফে সোয়েব হত্যাচেষ্টা মামলায় কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখাতে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরবর্তীতে তাকে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় কামরুল ইসলামের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়ানো ছিল। 

কাঠগড়ায় নেওয়ার পর তার মাথা থেকে হেলমেট ও বুক থেকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট খুলে ফেলা হয়। এ সময় কাঠগড়ার সামনে দাড়িয়ে থাকা তার আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন একটি চকলেট বের করে তাকে খেতে দেন। চকলেটে হাতে নিয়েই মুখে নেন কামরুল ইসলাম। এটা দেখে ওই আইনজীবীকে পুলিশ সদস্যরা ধমকান। তখন কামরুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের বলেন, আমি ডায়াবেটিসের রোগী। এজন্য আমাকে একটা চকলেট দিয়েছে। তার জন্য তাকে বাধা দেবেন? বেয়াদব কোথাকার। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাকে ওই আইনজীবীর কাঠগড়ার সামনে থেকে সরিয়ে দেন।

‎এরই মধ্যে ম্যাজিস্ট্রট জুয়েল রানা এজলাসে ওঠেন। পরে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

‎‎এরপর আইনজীবী আফতাব মাহমুদ চৌধুরী কামরুল ইসলামকে চকলেট, পানি খাওয়ানোর অনুমতি চান। তবে আদালত থেকে অনুমতি মেলেনি। পরে আফতাব মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কামরুল ইসলাম ক্যানসার আক্রান্ত অসুস্থ একজন মানুষ। তার ডায়ারেটিসও রয়েছে। কারাগার থেকে সকালে তাকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তিনি খুব দুর্বল হয়ে পড়েন। চকলেট খাওয়ার অনুমতি না দিলেও মানবিক বিবেচনায় অন্তত তাকে পানি খাওয়ানোর অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আদালত অনুমতি দেননি। বিষয়টা হতাশার।

‎‎মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায় , বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ অগাস্ট আন্দোলনকারীরা বাংলামোটর ফুটওভার ব্রিজের মোড়ে অবস্থান করছিল। এ সময় আসামিরা লাঠি-সোঠা, দেশী-বিদেশি ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং অনবরত গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন আল আমিন ইসলাম। এ ঘটনায় আল আমিন গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর কামরুল ইসলামসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও