যুক্তরাজ্য

১ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:১১
আরও খবর

যুক্তরাজ্য ত্যাগ করতে চাইলে সম্পদে ২০% কর দিতে হবে!

12479_Screenshot 2025-11-01 at 2.57.49 pm.jpeg

যুক্তরাজ্য ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলে ধনী ব্যক্তিদের ব্যবসায়িক সম্পদের ওপর ২০ শতাংশ কর আরোপের পরিকল্পনা বিবেচনা করছে সরকারের কোষাগার বিভাগ। চ্যান্সেলর রেচেল রিভসের অধীনে চালু হতে পারে এমন এই “সেটলিং-আপ চার্জ” থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন পাউন্ড রাজস্ব আয় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ জি-৭ দেশের করনীতিতে এমন ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।

বর্তমানে প্রবাসী করদাতারা যুক্তরাজ্যের সম্পত্তি ও জমি বিক্রিতে মূলধনী লাভের ওপর কর দিতে বাধ্য হলেও, অনেক কোম্পানির শেয়ারসহ অন্যান্য সম্পদ বিক্রিতে তারা ছাড় পেয়ে থাকেন। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশত্যাগের সময় এসব সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করে ২০ শতাংশ কর আরোপ করা হবে।

এক সরকারি সূত্র জানায়, বাজেট ঘোষণার আগে কোষাগার বিভিন্ন কর-নীতি যাচাই করছে। এই প্রক্রিয়ায় “সেটলিং-আপ চার্জ” শুধু একটি সম্ভাবনা মাত্র, এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কর না থাকা অবস্থায় যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ‘ব্যতিক্রম’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রেজল্যুশন ফাউন্ডেশনের গবেষণা পরিচালক জেমস স্মিথ বলেন, কম করযুক্ত দেশে স্থানান্তরিত হয়ে যুক্তরাজ্যে থাকা শেয়ার বা সম্পদ বিক্রি করলে বর্তমানে মূলধনী লাভের কর দিতে হয় না। নতুন পরিকল্পনা চালু হলে সে সুযোগ আর থাকবে না। তবে আগেভাগে ঘোষণা দেওয়ার ফলে পুঁজিপলায়নের ঝুঁকিও তুলে ধরেন তিনি।

প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় কর প্রদানের সময়সীমা কয়েক বছর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ রাখার কথাও বিবেচনায় রয়েছে, যাতে সম্পদ তাৎক্ষণিক বিক্রির চাপ না পড়ে। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যে আগমনের আগে অর্জিত বিনিয়োগের ওপর মূলধনী লাভ কর মওকুফের পরিকল্পনাও আলোচনায় আছে। কর বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে করব্যবস্থা ‘ন্যায্য ও ভারসাম্যমূলক’ হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারী আকৃষ্ট করার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

এ বিষয়ে কোষাগারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

সর্বাধিক পঠিত


আরও খবর
ভিডিও