
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩৩ বছর পর এবার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগরে একই নামের মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের জন্য রান্না হচ্ছে বিরিয়ানি।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের সাতটি কেটারিং প্রতিষ্ঠানকে শাহি বিরিয়ানি রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হুমায়ুন কবিরের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী জানান, অতিথিদের জন্য প্রায় ৪০ হাজার প্যাকেট বিরিয়ানি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য আরও ২০ হাজার প্যাকেট খাবার তৈরি করা হচ্ছে। শুধু খাবারের ব্যয়ই ৩০ লাখ রুপির বেশি হয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আয়োজনের বাজেট ৬০-৭০ লাখ রুপিতে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ গড়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে করা মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ কোনো হস্তক্ষেপ না করায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে এখন কোনো আইনি বাধা নেই। বরং রাজ্যকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে গভর্নর সি ভি আনন্দ বোস এর আগে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হুমায়ুন কবীর বর্তমানে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। তার এই ঘোষণার পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের এ অনুষ্ঠান শুরু হবে। হুমায়ুন কবীরের এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই উদ্যোগকে বিভিন্ন মহল থেকে সংখ্যালঘু আবেগের সঙ্গে রাজনৈতিক খেলা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মরাদিঘি এলাকায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ৪০ হাজার অতিথির জন্য শাহি বিরিয়ানি প্রস্তুত করছে সাত ক্যাটারার। স্থানীয় আরও ২০ হাজার মানুষের জন্য আলাদা বিরিয়ানির ব্যবস্থা আছে। খাদ্য খাতে ব্যয় প্রায় ৩০ লাখ টাকা। ১৫০ ফুট লম্বা ও ৮০ ফুট চওড়া মঞ্চ তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১০ লাখ টাকা। অনুষ্ঠানে ৪০০ বিশেষ অতিথি বসবেন। ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ভিড় ও যান নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকবেন। হুমায়ুন কবিরের দাবি, প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে ৩ লাখ মানুষ জমায়েত হবে।