পশ্চিমবঙ্গ

ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু বছর ১৭ এর দুই ছাত্র

660_CB23CC9B-E112-4C3D-835E-520676919318.jpeg

পায়েল দেব, হুগলী: শনিবার সন্ধ্যায় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল রিষড়ার দুই প্রতিশ্রুতিশীল ছাত্রের। দুজনেই টেকনো ইন্ডিয়া স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এর মধ্যে রিহান রাঠি (১৭) বাঙ্গার পার্কের রথি বাড়ির বাসিন্দা। তিনি ছিলেন সঙ্গীতপ্রেমী। তিনি একজন ভক্তিমূলক ভজন গায়ক ছিলেন। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী। অপরজন কৌস্তভ দাস গুপ্ত (১৭) রিষড়ার কেভেনটার হাউজিংয়ের বাসিন্দা। তার বাবা রিষড়ার পৌরসভায় কর্মরত। তিনি ছিলেন পিতার একমাত্র সন্তান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুই শিক্ষার্থীই উচ্চ মাধ্যমিকের সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। রিহানের সঙ্গে খেলতে বাঙ্গার পার্কে এসেছিলেন কৌস্তভ। গেম খেলার পর, রিহান তার বন্ধু কৌস্তভকে কভেন্টরের বাসায় নামাতে যাচ্ছিল। রেললাইন পার হওয়ার সময় দুজনেই টের পাননি যে আপ ও ডাউন লাইন থেকে ট্রেন আসছে। দুজনেই পালাক্রমে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। বেদনাদায়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই কৌস্তভের মৃত্যু হয়। এসময় রিহান গুরুতর আহত হয়।

রিহান রেললাইনে আধঘণ্টা ধরে রক্তাক্ত যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। পরে রিষড়া জিআরপি তাকে শ্রীরামপুর ওয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে দেরি হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আহত রিহানও হাসপাতালে মারা যান। একই সঙ্গে কয়েকজনের অভিযোগ, জিআরপি যদি সময়মতো রিহানকে হাসপাতালে নিয়ে যেত, তাহলে হয়তো একটা বাতিও বাঁচানো যেত। অন্যদিকে রিষড়া জিআরপি ইনচার্জ অরুণ পাল তার বাধ্যবাধকতা প্রকাশ করে বলেন, জিআরপির কোনো প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স নেই। ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে অটো টোটোর সাহায্য নিতে হয়।

লাহু লুহান বেশ কয়েকবার লজ্জায় অটো টোটো হাসপাতালে লাশ নিয়ে যান। রিহানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তাকে টোটোতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার চালক পালিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় টোটোতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াh হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। রিষড়া পৌরসভার প্রশাসকh বিজয় সাগর মিশ্র জানিয়েছেন, খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে পৌঁছেছেন। এরপর নিহতের পরিবার বাড়িতে পৌঁছে। ঈশ্বর এই কঠিন সময়ে উভয় পরিবারকে সাহস দিন। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। বেদনাদায়ক এ ঘটনায় পুরো রিষড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি সর্বদা শোকাহত পরিবারের পাশে ধাপে ধাপে দাঁড়াবেন।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও