পশ্চিমবঙ্গ

পশ্চিমবঙ্গে হতে পারে লকডাউন! আশঙ্কা কোভিড ১৯ গ্রাফে

848_1D84A784-CF73-46A5-9247-B6063D2C568C.jpeg

পায়েল দেব, পশ্চিমবঙ্গ: কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে কলকাতাসহ গোটা রাজ্য জুড়ে। সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে প্রতিদিনই দ্রুত গতিতে। সংক্রমণ বেড়ে গেছে প্রায় চারগুণ গত চার দিনে কলকাতা শহরেই। গত বুধবার একদিনে কলকাতায় ৫৪০ জন আক্রান্ত ছিলেন এই করোনা সেখানে আজ শনিবার ২৩৯৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন একদিনের মধ্যে।
আর ৪৫১২ জন সংক্রমিত হয়েছে গোটা রাজ্যে শনিবার নতুন করে। আর মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।

কলকাতাতে ১২.৫ শতাংশ সাপ্তাহিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ও শতকরা ৫.৪৭ ভাগ হয়েছে গোটা রাজ্যে সেই বৃদ্ধির হার। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন তারই মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল স্টাফ-ম্যানেজমেন্ট, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে করোনা সংক্রমণ রোধে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতাতে সেফ হোম ও কনটেন্টমেন্ট জোন চালুর জন্য। ৩ জানুয়ারি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কাজক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ও জেলা আদালতগুলোও।

এমন পরিস্থিতিতে মমতা ব্যনার্জির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সূত্র বলছে, রবিবার রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে করোনা সম্পর্কিত বৈঠকের পর সরকারিভাবে কোন বিবৃতি জারি করে রাজ্যেরপক্ষ থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হতে পারে সমস্ত ধরনের মেলা, বন্ধ করা হতে পারে বার, রেস্তোরা, সিনেমা হল-এর দরজা। কমানো হতে পারে লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও। সেইসঙ্গে ফের বন্ধ হতে পারে স্কুল-কলেজ। এছাড়া নাইট কারফিউও জারি করা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।

যদিও নবান্ন সূত্রে খবর করোনার আবহে 'ছাত্র সপ্তাহ' এবং 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসন। ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি- 'ছাত্র সপ্তাহ' পালনের ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। তারই অংশ হিসাবে আগামী সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জির উপস্থিতিতে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠান থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে 'স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড' তুলে দেওয়ারও কথা ছিল। করোনার কারণে সেটি বাতিল করা হয়েছে।

এমনকি রবিবার থেকে রাজ্যজুড়েই ফের 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি চালু হওয়ার কথা ছিল। এই দুয়ারে সরকার শিবির থেকে ২৪ টি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল রাজ্যবাসীর। কিন্তু সেখানেও বাধ সেধেছে করোনা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই শিবির করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মমতার মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবারই করোনা নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি (উডল্যান্ডস) হাসপাতালে ভর্তি রাজ্যের বিদ্যুত্‍ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারসহ কয়েকজন কাউন্সিলরও করেনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। গত তিনদিন ধরে তার সংস্পর্শে আসা সকল ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষার কথা জানিয়েছেন সৃজিত। ইতিমধ্যেই করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীও।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও